শিরোনাম
শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে বিতর্ক, বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ ট্রেনে ঈদ যাত্রা : ২৫ মার্চের টিকিট মিলছে আজ আজ ২ কোটি ২৬ লাখ শিশু খাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল দেবীগঞ্জে মসজিদ ও কবরস্থানের জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগে এলাকাবাসীর মানববন্ধন  আগামী এক দশকের মধ্যে পঞ্চগড়ের একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন : সারজিস যৌথ অভিযানে সাত দিনে ৩৮৩ অপরাধী গ্রেপ্তার রংপুরে মামলা থেকে নাম সরাতে ব্যবসায়ী মারফত ঘুষ দাবি পুলিশ কর্মকর্তার, বাদীকে থানাতেই মারধর জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে নিজ দেশে ফেরার আকুতি রোহিঙ্গাদের তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের বাংলাদেশের সংস্কারে পাশে থাকার আশ্বাস গুতেরেসের
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে ছাত্রনেতাদের প্রতিক্রিয়া কি!

রিপোটারের নাম / ৪৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪
Oplus_131072

আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করার ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের নেতারা।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) কালবেলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ প্রতিক্রিয়া জানান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি।

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় ছাত্ররাজনীতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে মন্তব্য করে ছাত্রদল সেক্রেটারি নাছির বলেন, ছাত্রলীগ একটি খুনি সংগঠন। খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ভোট ডাকাতি থেকে শুরু করে গণহত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে ছাত্রলীগ। সব জঙ্গি সংগঠন মিলে যত মানুষ খুন করেছে ছাত্রলীগ এককভাবে তার চেয়ে বেশি মানুষ খুন করেছে। ২০০৯ সাল থেকে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী তাণ্ডবের বিরুদ্ধে ছাত্রদল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। এতে ছাত্রলীগ এবং সরকারি বাহিনীর হাতে ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী গুমের শিকার হয়েছে এবং শহীদ হয়েছে। ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছিল। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে রেহাই পেতে যখন বিভিন্ন মহল থেকে বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠেছিল, তখন ছাত্রদল শুধু সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি করেছিল। আজ ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে ছাত্ররাজনীতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। গণতন্ত্রকামী সকল ছাত্রসংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিবেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চার পথ উন্মুক্ত হয়েছে। শুধু ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা চূড়ান্ত সমাধান নয়। ছাত্রলীগের হয়ে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

ঢাবি শিবির সভাপতি জানান, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম বৃহৎ একটি অর্জন। প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তা একটি যৌক্তিক ও সাহসী সিদ্ধান্ত। আমরা দেখে আসছি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী রেজিমে ছাত্রলীগ ও তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম কী রকম ভয়ানক রূপ ধারণ করেছিল। খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজ, ক্যাম্পাস দখল, ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতনসহ অপরাধের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে তাদের বিচরণ ছিল না। তাছাড়া আমাদের চব্বিশের বিপ্লবে শতসহস্র ভাইবোনকে পৈশাচিকভাবে রক্তাক্ত করে শিশু হত্যা ও গণহত্যা চালিয়েছে। তাদের এহেন অপরাধ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না বরং তার ধারাবাহিকতার মাত্রা দিন দিন আরও বর্বরোচিত হচ্ছিল। এখনো তারা বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে পাঁয়তারা করছে। ছাত্রলীগ কেন নিষিদ্ধ করা হলো তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের জরুরতও দেখি না। পুরো দেশের আকাঙ্ক্ষারই এখানে বাস্তবায়ন ঘটেছে। শুধু নিষিদ্ধ নয়, যারা খুন, ধর্ষণ, গণহত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল ও মৌন সমর্থন দিয়ে গেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। পরবর্তী সময়ে যেন দেশকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে না পারে সেদিকেই ছাত্রজনতা ও সরকারের সচেতন দৃষ্টি প্রত্যাশিত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ