শিরোনাম
শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে বিতর্ক, বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধ ট্রেনে ঈদ যাত্রা : ২৫ মার্চের টিকিট মিলছে আজ আজ ২ কোটি ২৬ লাখ শিশু খাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল দেবীগঞ্জে মসজিদ ও কবরস্থানের জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগে এলাকাবাসীর মানববন্ধন  আগামী এক দশকের মধ্যে পঞ্চগড়ের একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন : সারজিস যৌথ অভিযানে সাত দিনে ৩৮৩ অপরাধী গ্রেপ্তার রংপুরে মামলা থেকে নাম সরাতে ব্যবসায়ী মারফত ঘুষ দাবি পুলিশ কর্মকর্তার, বাদীকে থানাতেই মারধর জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে নিজ দেশে ফেরার আকুতি রোহিঙ্গাদের তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের বাংলাদেশের সংস্কারে পাশে থাকার আশ্বাস গুতেরেসের
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন

কাজ ছাড়াই বেতন তোলেন বেরোবির ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী: দুদক

ডেস্ক নিউজ / ১৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো কাজ না করেই প্রতি মাসে বেতন-ভাতা তুলছেন বলে অভিযোগ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার সকালে দুদকের রংপুর অফিসের পরিচালক হোসেন শরীফের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল বেরোবির রিসার্চ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন। এতে বেরোবির ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কর্মরত কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে অনিয়ম ও অবৈধ বেতন উত্তোলনের তথ্য পাওয়া যায়।

জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ইনস্টিটিউট থেকে এমফিল, পিএইচডি ডিগ্রি দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০১২ সালের ৭ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমফিল, পিএইচডিতে ভর্তি করানো হয়। গবেষণার জন্য অনুমোদন না থাকলেও উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়া তাঁর মেয়ে রুমানা ফেরদৌসী জলীলকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য এই ইনস্টিটিউটে গবেষক ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন বলে কথিত আছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ২০৫ জন গবেষক ভর্তি হন। তখন এই ইন্সটিটিউটে ভর্তির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। ২০২২ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এ ইনস্টিটিউটে কর্মরত প্রায় সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী বসে বসেই বেতন পাচ্ছেন বলে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন সংবাদ প্রকাশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

হোসেন শরীফ বলেন, নীতিমালা ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করায় ভর্তি ফেলোরা ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারেনি। কাগজপত্র যাচাই করে প্রাথমিকভাবে এ সত্যতা পেয়েছি। প্রতিবেদন কমিশনে পাঠাব। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, যোগদানের পর জানতে পারি, এ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আমি নিজে। পরে নিজের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমি ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট সম্পর্কে খোঁজ খবর নিই। এটির প্রথম দিকে অনুমোদন ছিল না। মে ২০২৪ সালে এ ইনস্টিটিউটের অনুমোদন দেওয়া হলেও নীতিমালা তৈরি করা হয়নি। আমি নিজ উদ্যোগে নীতিমালা তৈরি করার জন্য কাজ করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ