গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মহিষ ও গরু ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতার এবং ডাকাতির রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানার কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সে থানার অফিসার বুলবুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রেস কনফারেন্সে অফিসার ইনচার্জ সাংবাদিকদের উদ্যেশে বলেন গত ২৫ জানুয়ারী রাত আনুমনিক ১ টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে উপজেলার বৈঠাখালিতে অবস্থিত আখ গবেষণা কেন্দ্রের সামনে বেড়িকেট দিয়ে নীফামারীতে থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে ১০টি গরু বোঝাই একটি ট্রাক থামিয়ে ৮/৯ জনের একটি ডাকাতদল ট্রাকের চালক সহ অন্যান্যদের মারপিট করে তাদের চোখ বেঁধে জোড় করে ডাকাতদলের আনা ট্রাকে তুলে দিয়ে গরু বোঝাই ট্রাকটি ডাকাতদের কয়েকজন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা রুজু হলে গ্ইাবান্ধা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করে গরু বহনকারী ট্রাকটি দিনাজপুরের হাকিমপুর থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
গত ২৬ জানুয়ারী রাত আড়াইটায় কুড়িগ্রাম থেকে রাজশাহীগামী ৯টি মহিষ বোঝাই একটি ট্রাক একই ভাবে ডাকাতি হলে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এবং সহকারি পুলিশ সুপার সি-সার্কেলের তদারকিতে গোবিন্দগঞ্জ থানার চৌকষ পুলিশদল অভিযানে নেমে বগুড়ার মাটিডালির জয়বাংলা নামক স্থান থেকে মহিষ বহনকারী ট্রাকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এছাড়াও গত ৯ ফেব্রুয়ারী ডাকাতির সাথে জড়িত গোবিন্দগঞ্জের তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া গ্রামের মৃত আলম মিয়ার পুত্র শিপন মিয়াকে গ্রেফতার করলে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ডাকাতির সাথে জড়িত এবং ডাকাতি করা গরু মহিষ বিক্রির সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়। সর্বশেষ গত রোববার ( ৯ মার্চ) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকা থেকে গরু ও মহিষ ডাকাতির মূলহোতা উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের দিঘলী ফুলবাড়ী গ্রামের আমান উল্ল্যা শেখ ওরফে চিনু মিয়ার পুত্র সামিউল ইসলামকে গ্রেফতার করলে এই গরু ও মহিষ চুরির ঘটনার সকল আসামী গ্রেফতার কাজ সম্পন্ন করা হয় এবং পুরো রহস্য উদঘাটন হয়। থানার আয়োজনে এই প্রেস কনফারেন্সে থানার এসআই মানিক রানা উপস্থিত থেকে বিভিন্ন বিষয়য়ে আফিসার ইনচার্জকে সহায়তা করেন।