ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে পুলিশ ধরবে না, এমন কথা বলে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে টাকা আদায়ের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলা করায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিউল আলমকে ‘সমন্বয়কের’ বড় ভাই গত রবিবার রাতে শাবল দিয়ে আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ আহত অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আহত শফিউল আলম ভাইটকান্দি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে। তিনি ইউনিয়নটির সখল্যা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শওকত আলীর ছেলে। তাকে পুলিশ ধরবে না এমন শর্তে একই গ্রামের মো. ইসমাইল জবিউল্লাহর ছেলে স্থানীয়ভাবে সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া ওবায়দুল হক ৫ হাজার টাকা নেন। টাকা নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে রবিবার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শওকত আলী বাদী হয়ে ফুলপুর থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন।
ওই মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দেওয়া ওবায়দুল হকের বড় ভাই শহীদুল ইসলাম (৩২) শাবল নিয়ে আক্রমণ করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিউল আলমকে।
শফিউল আলম বলেন, ‘রবিবার (৯ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সখল্যা মোড়ে একটি ফার্মেসির সামনে বেঞ্চে বসা ছিলাম। ওই সময় শাবল নিয়ে আমাকে ঘাই দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে শহীদুল। ওই সময় ডান হাতে ফেরাতে গিয়ে হাতে আঘাত পাই। এ সময় শহীদুলের সঙ্গে আমার ধস্তাধস্তি হলে স্থানীয় লোকজন চলে আসলে সে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা পুলিশের খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের গাড়িতে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আমাকে চিকিৎসা দেয়। সোমবার বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেবো আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাকা নেওয়ার ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তা ডিলিট করার জন্য হুমকি দিতে থাকে শহীদুল। কিন্তু আমি সেটি ডিলিট না করায় এবং কথিত সমন্বয়ক ওবায়দুলের বিরুদ্ধে আমার বাবা মামলা করায় আমার ওপর হামলা করা হয়।’
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাদি বলেন, ‘টাকা আদায়ের ঘটনায় ওবাদুল হকের বিরুদ্ধে গত রবিবার মামলা হয়েছে। ওই মামলার জেরে বাদীর ছেলেকে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়। লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’