শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৯ অপরাহ্ন

মিঠাপুকুরে বিএনপির কমিটিতে দুই যুবলীগ নেতা

ডেস্ক নিউজ / ৪৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় বিএনপির ওয়ার্ড কমিটিতে দুজন যুবলীগ নেতাকে স্থান দেওয়া হয়েছে। ওই দুই যুবলীগ নেতা সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে নৌকা মার্কার পক্ষে ‘ভোট ডাকাতিতে’ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির কমিটি গঠিত হয়। তৎকালীন বিএনপির ভাংনী ইউনিয়ন আহ্বায়ক মাহবুব আলম ও সদস্য সচিব আব্দুল হামিদ হাই কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটিতে ওই ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি রওজার হোসেন শয়নকে যুগ্ম সম্পাদক ও বিগত সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’ গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী ইদ্রিস আলী লায়নকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাংনী ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা বলেন, ‘রওজার হোসেন শয়ন ও ইদ্রিস আলী লায়ন দুজনেই আওয়ামী লীগের ক্যাডার। এটা সবাই জানে। কিন্তু এবারের সেক্রেটারি পদপ্রার্থী মোসলেম ও সভাপতি মাহবুব আলম দলীয় নির্বাচনে তাদের ভোট বাড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগের এই দুই ক্যাডারকে কমিটিতে পদ দিয়েছিল।’

স্থানীয়রা জানান, বিগত নির্বাচনকালীন সময়ে জোর করে নৌকা মার্কায় একাই ২০০/৩০০ করে সিল মেরেছিল ইদ্রিস আলী মণ্ডল লায়ন। তাকে সবাই আওয়ামী লীগের ক্যাডার বলেই জানতাম। এখন হঠাৎ করে কিভাবে বিএনপিতে ঢুকল তা আমাদের অজানা। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ২ নম্বর ওয়ার্ডের নেতৃত্বে ছিল রওজার হোসেন শয়ন ও ‘ক্যাডার বাহিনীর’ নেতৃত্বে ছিল ইদ্রিস আলী লায়ন। এখন শুনছি লায়ন নাকি আগে থেকেই বিএনপি করে।

এ বিষয়ে ভাংনী ইউনিয়নের তৎকালীন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল হামিদ হাই মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেন, ‘কমিটির সবকিছু সভাপতি করেছে। আমি এদেরকে ভালভাবে চিনি না।’

ভাংনী ইউনিয়ন বিএনপির তৎকালীন আহ্বায়ক ও বর্তমান সভাপতি মাহবুব আলম বলেন, ‘রওজার হোসেন শয়নের ব্যাপারে আমি ভালোভাবে জানি না। যারা তাকে কমিটিতে রাখার বিষয়ে সুপারিশ করেছে তাদের সঙ্গে কথা বলে তার বিষয়ে জানাতে পারব। আর ইদ্রিস আলী মণ্ডল লায়ন ২০১০ সাল থেকেই ওই ওয়ার্ডের বিএনপির সেক্রেটারি ছিল।’

বিএনপির সেক্রেটারি আগে থেকে থাকলে আওয়ামী লীগের এমপির ছেলের আস্থাভাজন হিসেবে কিভাবে নৌকার পক্ষে ভোট ডাকাতিতে নেতৃত্ব দিল- প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানি না। হয়তো লায়নের আত্মীয় স্বজন কেউ ভোটে দাঁড়িয়েছিল।’

এ বিষয়ে জানতে রওজার হোসেন শয়ন ও ইদ্রিস আলী লায়ন মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মিঠাপুকুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোতাহারুল ইসলাম নিক্সন (পাইকার) বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোক বিএনপিতে পুনর্বাসন হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ