বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মধ্যরাতে সংবাদ সম্মেলন বলে দেয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থা ভয়াবহ। দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় এখনো আমরা সরকারের পদত্যাগ দাবি করিনি। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি উন্নতি না হলে মানুষ এই অবস্থা সহজভাবে মেনে নেবে না। বিএনপির কর্মীরা উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ১৭ বছর শহীদ হয়েছে, নিগৃহীত হয়েছে, জেল খেটেছে, নিমর্মতার শিকার হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এ ভূখণ্ডকে মানুষের বসবাস উপযোগী করার পদক্ষেপ সরকার নেবে বলে প্রত্যাশা করছি।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর দর্শনা বাছিরন নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জুলাই অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক শিক্ষা শীর্ষক আলোচনা ও গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
স্থানীয় তাজহাট থানাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট রংপুরের সন্তান ড. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশের পরিস্থিতি বড় নাজুক। আইন-শৃঙ্খলার দিক থেকে কয়েকদিনে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করেছি। গণতন্ত্র ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু ছয় থেকে সাত মাসে বাজার সিন্ডিকেটের অসম্ভব কষাঘাত, বেকার ছাত্রদের কাজ না পাওয়া, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
তিনি বলেন, ঘরে এসে মানুষকে কুপিয়ে যাচ্ছে, হত্যা করছে। বাসে মেয়েরা লাঞ্ছিত, নিগৃহীত হচ্ছে। ঢাকাসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা যখন প্রতিবাদ জানায়, সুরাহা চায় তখন মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন। এতে আমরা বুঝতে পারি, দেশের অবস্থা কতটা ভয়াবহ।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা আজ দেখছি নৌ বাহিনীর ঘাঁটিতে দৃষ্কৃতকারীরা আক্রমণ করছে। এর চেয়ে বড় পরিতাপের বিষয় দেশে আর দ্বিতীয়টি নেই। আমরা চাই দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিসহ দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক।
অনুষ্ঠানে রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাকিব মাসুদ, ব্যবসায়ী ও সংগঠক তৌহিদ হোসেন আশরাফী প্রমুখ।