এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার বন্ধ, ‘নামসর্বস্ব’ ম্যাটসের কার্যক্রম বন্ধ, বিসিএস পরীক্ষায় বয়স বৃদ্ধিসহ ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পাঁচ দফা দাবিতে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন।
সোমবার (২৪ ফেব্রয়ারি) সকালে একই দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো রংপুর-দিনাজপুর ও ঢাকা মহাসড়কে মেডিক্যাল মোড়ে অবরোধ করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কর্মবিরতিতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দুর্ভোগ আর ভোগান্তিতে পড়ন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগীর চিকিৎসাসেবা যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য অন্য চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করছেন।
আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মাহফুজুর রহমান, ডা. মো. রাশিদ সাবাব বলেন, ‘এমবিবিএস এবং বিডিএস ডিগ্রিধারীরাই হচ্ছেন চিকিৎসক। তারা নামের আগে ডাক্তার লাগাতে পারেন। কিন্তু এসএসসি পাস করে ম্যাটস এবং স্যাকমো করতে যারা এখানে আসেন, তারা ডাক্তার নন, তারা মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট। অথচ নামের আগে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করে তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলেন, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ও মিড লেভেলের চিকিৎসকরাও।
আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা,পাঁচ দফা দাবিতে ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর মেডিক্যাল মোড় গিয়ে সমাবেশ করেন। সেখান থেকে আবারও ফিরে আসেন তারা।পরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালে আসা রোগীদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে জরুরি বিভাগ চালু রয়েছে
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে ৩৩টি ওয়ার্ডে প্রায় ২৫০ ইন্টার্ন চিকিৎসক রয়েছেন। তারা অন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু কর্মবিরতি শুরুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, কনসালট্যান্ট, রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার, এইচএমও, আইএমওসহ বিভিন্ন চিকিৎসকদের পালাক্রমে দায়িত্ব দেন, যাতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিকালে রোগীরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে কিছুটা প্রভাব পড়বেই। তার পরও আমরা চেষ্টা করছি কলেজ ও হাসপাতালের অধীন যেসব চিকিৎসক আছেন, তাদের মাধ্যমে চিকিৎসা কার্ষক্রম স্বাভাবিক রাখা। তবে অতি দ্রুত এর সমস্যার সমাধান হবে। এরপর কাজে ফিরবেন তারা।