রংপুরের মিঠাপুকুরে কর্মচারীর দ্বারা মোবাইল ও নগত টাকা চুরির অভিযোগ উঠলেও কর্মচারীই উল্টো মালিকের নামে মিথ্যা মারধরের অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের জায়গীরহাট বাজার এলাকায় ।
চুরির ঘটনায় বুধবার (২১ আগস্ট) মিঠাপুকুর থাকায় অভিযুক্ত রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর রাকিবুল হাসান।
জানা যায়, রবিউল ইসলাম (২৮) দীর্ঘদিন থেকে রাকিবুল হাসান (২৭) এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী হিসেবে কর্মরত আছে ।
প্রতিদিনের ন্যায় (২০ আগষ্ট) সকালে রবিউল তার মালিক রাকিবুলকে ব্যবসায় সাহায্য করছিলেন । একপর্যায়ে রাকিবুল দোকানের বাইরে চা খাওয়ার জন্য যায় এবং কিছুক্ষণ পর এসে দেখে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ড্রয়ারে রাখা ৪১ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নেই। পরবর্তীতে কর্মচারী রবিউল ইসলাম বলে আমি এই বিষয়ে জানি না। কিন্তু রাকিবুল চা খাওয়ার জন্য বাইরে যাওয়ার পর আর কোন লোক ঔ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসেনি । তাই বাদি ও স্থানীয়দের সন্দেহ হয় ঘটনাটি কর্মচারী রবিউল ইসলাম ঘটিয়েছে ।
এদিকে বিবাদী রবিউল ইসলাম সারাদিন তার মালিকের কাছে থাকলেও (২০ আগষ্ট) রাতে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় এবং পরে মিঠাপুকুর থানার রাকিবুল ইসলামের নামে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী রাকিবুল হাসান জানান, ঘটনার দিন সারাদিন রবিউল আমার সাথেই ছিলো । যেহেতু ঘটনার সময় আমি উত্তেজিত হয়ে তাকে দু’একটি চড় মারি তাই আমি সন্ধায় স্থানীয় একটি হোটেলে রবিউলকে ভাত খাওয়াই এবং বলি ফোন ও টাকা আমাকে ফেরত দিতে । খাওয়ার পর পূণরায় সে আমার দোকানে বসে এবং রাত ১১ টার পরে বাড়ি চলে যায় । কিন্তু পরে শুনতে পারি সে নাকি মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে এবং আমার নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। স্থানীয়রা সাক্ষী, আমি কখনোই মেডিকেলে ভর্তি হতে হবে এমন মারধর করিনি । সে চুরির মাল ফেরত না দেয়ার জন্য এমনটা করেছে ।
এবিষয়ে অভিযুক্ত রবিউল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।