পুলিশ সংস্কার কমিশন (পিআরসি) লিঙ্গ বৈষম্য কমাতে ও জনসেবা বৃদ্ধির জন্য বাহিনীটিতে বিদ্যমান মহিলা পুলিশের সংখ্যা ১৬,৮০১ জন থেকে বাড়িয়ে অন্তত ২৯,২৪৮ জনে বৃদ্ধি করার সুপারিশ করেছে। বর্তমানে মহিলা পুলিশের সংখ্যা মোট পুলিশ বাহিনীর মাত্র ৮%।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে পিআরসি সুপারিশ করেছে, ‘সাইবার সাপোর্ট, অন্যান্য ইউনিট ও অফিসের জন্য মহিলা পুলিশ অফিসারের কাঙ্ক্ষিত সংখ্যা বর্তমান ১৬,৮০১ থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ২৯,২৪৮ করতে হবে।’
পিআরসি জানিয়েছে, বর্তমানে বিভিন্ন থানাসহ বিভিন্ন ভূমিকায় মহিলা পুলিশ অফিসারের সংখ্যা মাত্র ৮ শতাংশ, যা জনসেবা বৃদ্ধির জন্য সম্পূর্ণরূপে অপর্যাপ্ত। সুপারিশে বলা হয়েছে, মহিলা পুলিশ অফিসারের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বর্তমান অর্গানোগ্রামে পদ সৃষ্টি করা উচিত।
এতে আরো বলা হয়েছে, ৬৪টি জেলায় নারীকেন্দ্রিক পরিষেবা যেমন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগ এবং নারীদের জন্য পুলিশ সাইবার সাপোর্ট স্থাপন করা উচিত।
পিআরসি বলেছে, পুলিশ বাহিনীতে লিঙ্গ ও শিশু সংবেদনশীলতা নিশ্চিত করার জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের বিধি বিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করা উচিত।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, প্রতিটি থানায় আগত মহিলা (ভুক্তভোগী/বন্দি) এবং মহিলা পুলিশ সদস্যদের জন্য ডিউটি পরিবর্তন/পোশাক পরিধান/স্তন্যপান কর্নারের ব্যবস্থা করতে হবে।
ডরমিটরিতে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য স্বাস্থ্যকর আবাসন সুবিধা (পৃথক বিশ্রামাগার, টয়লেট, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক ডাইনিং রুম) নিশ্চিত করা উচিত বলেও তারা জানিয়েছে।