শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩২ অপরাহ্ন

১০ টাকার জন্য অমানবিক নির্যাতন, হাসপাতালে ভ্যানচালক

ডেস্ক নিউজ / ৩৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে মাত্র ১০ টাকা টোলের জন্য এক ভ্যানচালককে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের লোকজনের বিরুদ্ধে। নির্মম এ ঘটনার শিকার মফিজুল ইসলাম (৪৫) বর্তমানে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দেবীগঞ্জ পৌরসভার করতোয়া সেতুর পশ্চিম পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টায় মফিজুল কালীগঞ্জ বাজার থেকে আলু নিয়ে বোম্বে অ্যাগ্রো লিমিটেডের উদ্দেশে রওনা হন। করতোয়া সেতুর পশ্চিম পাশে পৌঁছলে টোল আদায়কারী শাহাদাত তাকে থামান। বিগত দিনের টোল পরিশোধ না করাকে কেন্দ্র করে ইজারাদারের লোকজন অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। প্রতিবাদ করায় শাহাদাত, লিটনসহ আরও কয়েকজন মিলে মফিজুলের শার্টের কলার ধরে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান। এসময় মফিজুলকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে মন্তাজ, আলফাজসহ তিন ভ্যান চালককেও মারধর করা হয়।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী মফিজুল ইসলাম বলেন, রোববার সন্ধ্যায় আমাকে টোলের রসিদ দেওয়া হয়, কিন্তু রাত ৯টায় ফেরার সময় কাউকে না পাওয়ায় টাকা দিতে পারিনি। আজ যখন টোল দিতে যাই, তখন তারা আগের দিনের টাকা নেওয়ার কথা বলে গালাগাল শুরু করে। আমি প্রতিবাদ করলে শাহাদাত, লিটনসহ চারজন মিলে আমার শার্টের কলার ধরে লাঠি দিয়ে মারধর করে।

এদিকে ভ্যানচালক মফিজুলের ওপর হামলার ঘটনার পর অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে ভ্যানচালকরা সড়ক অবরোধ করেন। এতে পৌরসভার পাকুড়িতলা থেকে করতোয়া সেতু পর্যন্ত এশিয়ান মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

অন্যদিকে ভুক্তভোগী মফিজুলের মামাতো ভাই নুর ইসলাম বাদী হয়ে শাহাদাত ও লিটনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত শাহাদাত ও লিটন পৌরসভার পাকুড়িতলা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

এবিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ওসি সোয়েল রানা কালবেলাকে বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও পৌরসভার টোল আদায়কে কেন্দ্র করে ভ্যান ও থ্রি-হুইলার চালকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছিল। তবে প্রতিবারই অভিযুক্তদের সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এবারও প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ