পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ৮ দিনের ও এ কে এম শহীদুল হককে ৭ রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার(৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার মহানগর হাকিম আখতারুজ্জামান তাদের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মুদিদোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের, অন্যদিকে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় শহীদুল হকের ১০ রিমান্ড আবেদন করা হয়।
এই মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা শক্ত হাতে ছাত্রজনতার আন্দোলন দমন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলার আরেক আসামি ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমে আন্দোলন দমনের নির্দেশ দেন। মামলার ৩ নম্বর আসামি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যরা ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলার ৫ নম্বর আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পুলিশকে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করার নির্দেশ দেন। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে শহীদুল হকের রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তাঁর জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
দুজনের রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে জামিন চান আসামী পক্ষের আইনজীবী।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও শহীদুল হককে গ্রেপ্তারের কথা গতকাল মঙ্গলবার রাতে জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।