লালমনিরহাটে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে জহুরুল মোল্লা ওরফে সাগর নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার দোয়ানী পিত্তিফাটা গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা হাতীবান্ধা থানায় এজাহার দাখিল করেছেন। বর্তমানে ধর্ষণের শিকার ওই শিশু লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশু ধর্ষণের ঘটনায় এজাহার প্রাপ্তি ও একজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি বৃহস্পতিবার রাত ২ টায় হাতীবান্ধার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবী নিশ্চিত করেছেন।
এজাহার সূত্র ও স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে জানা গেছে, অভিযুক্ত সাগর তার কাজের প্রয়োজনে বিদুৎ সংযোগ নেওয়ার অজুহাতে ভুক্তভুগী শিশুর বাড়িতে বৃহস্পতিবার সাড়ে ৫টার দিকে যায়। এ সময় বাড়িতে একা থাকা সাত বছর বয়সী ওই শিশুকে ২০টাকার নোট দিয়ে লোভ দেখায় এবং ধর্ষণ করে সাগর।
এ সময় শিশুর চিৎকারে তার মা এগিয়ে আসলে চলে যায় অভিযুক্ত সাগর। মা ও মেয়ের চিৎকারে জানাজানি হয়ে যায় ওই এলাকায়। পরে অভিযুক্ত সাগরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে স্থানীয়রা। আর ভুক্তভোগী শিশুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে ভুক্তভোগী শিশু লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুন নবী বলেন, ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার একটি এজাহার দিয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত জহুরুল মোল্লা (সাগর )কে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। গ্রেফতারকৃতকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দ্বায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সাদিক সোয়াদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেফার্ড হয়ে আসা এক শিশুকে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই শিশুর সঙ্গে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে। বর্তমানে ওই শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে।