বস্তু নিষ্ঠ, সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করতে জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধিনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ফেলোশিপ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন পত্রিকায় দেয়া হবে। প্রতি বছর এই অব্যাহত থাকবে।
সোমবার ( ২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বিভাগের সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের মধ্যে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ও রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরপিইউজে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ডিসি মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে এবং আরপিইউজে সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নানের সঞ্চালায় এবং এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, আরপিইউজে সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের সদস্য সচিব লিয়াকত আলী বাদল, দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহফিজুল ইসলাম রিপন।
এসময় ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘ আমাদের সন্তানরা এই বৃত্তি টাকার অংকে যাই হোক না কেন। এটা হলো মূলত তাদের উৎসাহ দেয়া এবং তাদের শিক্ষা ও পড়ালেখার প্রতি উৎসাহিত করা অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্যই সরকারের এই উদ্যোগ। আমরা আশা করি তার ভালো ফলাফলের মধ্য দিয়ে এই বৃত্তি যাতে আগামীতেও পায়, সেই প্রচেস্টা তারা অবশ্যই চালাবে। ’
মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবীণ সাংবাদিকদের মাসিক ভাতার আনার একটা উদ্যোগ নিয়েছে। সেই নীতিমালা তথ্য মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। আশা করছি শীগগিরই সেই নীতিমালা অনুমোদন হবে। তাহলে আমরা যারা প্রবীণ সাংবাদিক যারা সারাজীবন সাংবাদিকতা করে শ্রম দিয়ে ঘাম দিয়ে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারা শেষ বেলায় ওষুধ কিনতে পারেন না। তাদেরকে মাসিক ভাতা দেয়া হবে। চলতি অর্থ বছরে না হলেও পরের বছর থেকে এটি চালা হবে।
পরে রংপুর বিভাগের ৬৩ জন সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানকে শিক্ষা বৃত্তির এবং ঠাকুরগাঁও জেলার ১০ জন সাংবাদিককে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।