রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ৪ টি দপ্তরে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। একই ব্যাক্তি ওই পৃথক ৪ টি দপ্তরের দায়িত্বে রয়েছেন যে কারনে প্রতিটি দপ্তরে জনসাধারণের হয়রানি বাড়ছে। দপ্তর গুলো হচ্ছে পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ,পৌরসভা কার্যালয়,সহকারি কমিশনার(ভুমি) এর কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়।
এসব দপ্তরে গুরুত্বপুর্ন কাজের জন্য আসা লোকজন প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক শ্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর উপজেলা পরিষদ বাতিল করে দেয়া হয়। সঙ্গত কারনেই ওই দপ্তরের কাজগুলো দায়িত্ব এসে পড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপর। এর পর পরই পৌরসভাগুলো বাতিল করে দেয়ায় পৌরসভার মতো জটিল বিভাগের কাজও এসে পড়ে একই ব্যক্তির উপরে।
গত বছরের শেষের দিকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য সহকারী কমিশনার (ভুমি) তকী ফয়সাল তালুকদার দেশের বাইরে চলে যান। যে কারনে ওই বিভাগের দায়িত্বও কাঁধে চাপে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপরে। এছাড়া নিজের দায়িত্ব তো রয়েছেই। আর এই দায়িত্বে রয়েছেন খাদিজা বেগম। বর্নিত চারটি বিভাগের গুরুত্বপুর্ন ও জটিল কাজগুলো একযোগে দেখাশোনা করা উক্ত কর্মকর্তার জন্য বেশি চাপ হয়েছে। যে কারনে তিনি নাকি প্রায় সময়ই বিভিন্ন কাজে আসা লোকজনের সাথে অসদাচরন করে থাকেন। অনেকের ফাইল দিনের পর দিন পড়ে আছে। সংশ্লিষ্টরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
মাসের পর মাস অনেকের ফাইল পড়ে আছে উক্ত দপ্তরে। অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের বেতন ভাতার পড়ে আছে কয়েকমাস ধরে। শুধুমাত্র একটি স্বাক্ষরের অভাবে। দেন দরবার করতে গেলে বকাঝকা খেতে হচ্ছে। অনেক ফাইল দিনের পর দিন পড়ে থাকছে। মোট কথা জনভোগান্তি কয়েকগুন পর্যন্ত বেড়েছে। এতে অবশ্য সুযোগ নিচ্ছেন উক্ত দপ্তরের অধস্তন কর্মচারিরা। অভিযোগ রয়েছে তারা নগদ নারায়নের বিনিময়ে অনেক ফাইল পার করে নিচ্ছেন নিজ নিজ কৌশলে। অথচ এসব অভিযোগ উক্ত কর্মকর্তার কান পর্যন্ত পৌছাচ্ছে না। বিষয়টিতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও নীতি নির্ধারক মহলের আশু হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ভুক্তভোগী মহল।