রংপুরের মিঠাপুকুরে ভক্তিপুর মন্ডল বাজারের সমিতির জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে আব্দুল লতিফ নামে একজনের বিরুদ্ধে।
তিনি জোর পূর্বক বাজারে যৌথ মালিকানা জমিতে পাকাঘর নির্মাণ করছেন। সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক অন্যান্য বায়না সুত্রে মালিকরা বাধা দিলেও তিনি কর্ণপাত করছেন না। একারণে বায়না সুত্রে বেলাল হোসেন নামে একজন মালিক মিঠাপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এস আই মনজুরুল হাসান তার সহযোগী ও এলাকার চকিদার সহ সরেজমিনে পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। কিন্তু আব্দুল লতিফকে জমির অবকাঠামো নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলে এসেছেন। তারপরও তিনি জোরপূর্ক অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসি ও অংশিদার পক্ষের অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভক্তিপুর মন্ডল বাজার উন্নয়ন করার লক্ষে ২৫ জন ব্যক্তি ২৫ শতক জমি ক্রয় করেন। বেশ কয়েক বছর সেখানে তারা নানা উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড করেছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে মনমালিন্ন সৃষ্টি হলে সকলে মিলে মাহমুদ আল রাজিকে সভাপতি ও অহসানুল হক দিপুকে জমিটি বিক্রির জন্য ক্ষমতা প্রদান করেন। তিনি ওই জমির মধ্যে ২০.৫০ শতাংশ জমি কবলা মুলে বিক্রি করে দেন। বাকি ৪.৫০ শতক জমি বেলাল হোসেন, রাশেদুল ইসলাম, বুলেট মিয়া, আইব আলী, খাজানুর রহমান এর নামে কবল করে দেওয়ার কথা। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে সেটি হয়ে ওঠেনি। এভাবে চলছে প্রায় বছর চারেক। হঠাৎ করে ভক্তিপুর চৌধুরীপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফ ওই জমিতে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ নিয়ে অংশিদারদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বেলাল হোসেন নামে অংশিদার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভক্তিপুর মন্ডল বাজার সড়কের সম্মুখে নতুন করে অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। ভক্তিপুর চৌধুরীপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুল লতিফ ওই অবকাঠামো নির্মাণ করছেন। তিনি বলেন, আমি অংশিদারদের কাছ হতে জমি ক্রয় করেছি। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই জমির মুল মালিক ওই ক্ষমতা প্রদানকারী ব্যক্তির নামে আছে। ওনার অধিনে জমির সকল কাগজপত্র রয়েছে। ওই জমিটি এখনও কোন ব্যক্তির নামে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়া হয়নি। জোর পূর্বক তিনি জমিটি দখলের চেস্টা করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বলেন, ওই জমিটি এখনও কারো নামে রেজিস্ট্রি হয়নি। স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে আব্দুল লতিফ জমিটি দখলের চেস্টা করছেন। তার সাথে রয়েছে কয়েকজন অংশিদার। তারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জমিটি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে।
অভিযোগকারী বেলাল হোসেন বলেন, ওই জমিতে আমাদের পাঁচ জনের নামে পাঁচটি অংশ রয়েছে। কিন্তু আব্দুল লতিফ জোরপূর্বক জমির একাংশ দখলের চেস্টা করছে।
জমিটির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি মাহমুদ আল রাজি বলেন, নানা জটিলতার কারনে জমিটি এখনও কারো নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়নি। মিঠাপুকুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে এসআই মনজুরুল হাসান তদন্ত কনেছেন। এখন এর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।