শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন

ভারত আমাদের একবার পানিতে শুকিয়ে মারে আর একবার পানিতে ডুবিয়ে মারে-জোনায়েদ সাকি

ডেস্ক নিউজ / ১৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ভারত একবার আমাদের পানি শুকিয়ে মারে আর একবার আমাদের পানিতে ডুবিয়ে মারে। এই হচ্ছে ভারতের নীতি। আজ সোমবার বিকেলে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়সহ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবীতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির দুই দিনের কর্মসূচীর রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মহিপুর তিস্তা সেতুর নিচে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা নতজানু সরকার তারা ভারতের প্রতি নতজানু থেকে নিজেদের গদি রক্ষা করতে চেয়েছে। ভারতের শাসকদের আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই । যদি আপনারা সু-সর্স্পক রাখতে চান তাহলে ন্যায্যতার ভিত্তিতে আমাদের সাথে সু-সর্ম্পক রাখতে হবে। আর এই ন্যায্যতা হচ্ছে তিস্তা নদীর পানির সুসম বন্টণ। এই নদীতে শুধু মানুষের অধিকার নয় এই নদীতে সকল প্রাণীর অধিকার রয়েছে। এক তৃতীয়াংশ পানি নদীর জন্য হবে বাকি পানি কৃষিকাজে ব্যয় করার জন্য যথাযথভাবে বন্টন করতে হবে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে আইন আছে। একটা নদীরপাড়ে যে সমস্ত দেশ আছে সেই নদীর উপরে সকল দেশেরই অধিকার সমান। কারোও অধিকার কারোও চাইতে কম বেশি না। ফলে ভারত উজানে আছে বলে তিস্তার উপরে তাদের অধিকার বেশি এটা মোটেও সত্য না। আমরা দেখে আসছি ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে উত্তর তিস্তা থেকে সিকিমের ভেতর দিয়ে তারা এখানে অসংখ্য বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যহার করেছে। তারপরে যখন পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেছে ওনারা গজল ডোবায় বাঁধ দিয়েছে। আবার সেখান থেকেও পানি প্রত্যাহার করেছে।

সাকি আরো বলেন, পশ্চিমবাংলা দোষে সিকিমকে। আবার যখন ভারত বাংলাদেশ পানি চুক্তিতে বসে তখন পশ্চিমবাংলা দোষে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তখন ভরত বাংলাদেশকে এসে বলে আমাদের তো এ রাজ্য মানেনা ও রাজ্য মানেনা। তার মানে বাংলাদেশকে পানি না দেয়ার তাদের এটা ছলচাতুরি। ভারতের কোন রাজ্য কি বললো সেটা বাংলাদেশের মানুষের দেখার বিষয় নয়। ভারত একটা দেশ তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা তারা মেটাবে। এই যে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে পানি প্রত্যাহার করেছে গজলডোবা পর্যন্ত। তারপরে চুক্তির কথা বলে, এবং শেখ হাসিনা সেই চুক্তির জন্য দৌড়া দৌড়ি করেছে সেটাও পারে নাই।

এসময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে সাকি বলেন, অবিলম্বে আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যার জন্য ভারতের সাথে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেন। ভারত যদি আমাদেরকে পানির ন্যায্য হিস্যা না দেয়। প্রত্যেকটি প্রশ্নকে আন্তর্জাতিক ফোরামে আমাদের তুলতে হবে। আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আমরা আমাদের পানির ন্যায্য হিসাব আদায় করব। এইজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। তাহলে আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে পারব।

আলোচনা সভায় তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক ও রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সদস্য ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. মাহফুজ-উন-নবী ডন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ