বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ‘গভীর উদ্বিগ্ন’ বলে জানালেন মার্কিন ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড। ভারতে সফরে এসে দিল্লিতে দেশটির চ্যানেল এনডিটিভি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
তুলসী গ্যাবার্ডের কাছে এনডিটিভি জানতে চাওয়া হয়েছিল, ‘আমরা যদি ঘরের কাছে, ভারতীয় উপমহাদেশে বাংলাদেশের দিকে তাকাই, তাহলে আমরা দেখেছি সেখানে অনেক রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে, অনেক সহিংসতা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বহু রিপোর্ট এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন? তারা কি মনে করে না (বাংলাদেশে) স্থিতিশীলতা দরকার, শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রে?’
জবাবে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই (আমরা উদ্বিগ্ন)। দুর্ভাগ্যজনকভাবে খুব লম্বা সময় ধরে সেখানে হিন্দু, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, ক্যাথলিক ও অন্যদের ওপর যে ধর্মীয় নির্যাতন, হত্যা ও অত্যাচার চালানো হচ্ছে সেটা আমেরিকার সরকার তথা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের জন্য খুব বড় একটা উদ্বেগের জায়গা।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব নেয়া সদস্যদের কথাবার্তা সবেমাত্র শুরু হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেয়া আরেকটি সাক্ষাৎকারে ‘ইসলামি জঙ্গীবাদ’ নিয়ে কথা বলেন তুলসী গ্যাবার্ড। আর সেখানেও বাংলাদেশের প্রসঙ্গ এসেছে।
ওই সাক্ষাৎকারে মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, পাকিস্তানের মাটি থেকে ভারতের বিরুদ্ধে যে একের পর এক জঙ্গী হামলা চালানো হয়, সেটাকে ট্রাম্প প্রশাসন কীভাবে দেখে?
জবাবে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের শাসনকাল থেকেই ইসলামী জঙ্গীবাদকে পরাস্ত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং নতুন মেয়াদেও সেই ধারাবাহিকতাই অব্যাহত আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ইসলামি জঙ্গীবাদের সরাসরি প্রভাব পড়েছে এবং এখনও পড়ে চলেছে আমেরিকার মানুষের ওপর।
‘আমরা আরও দেখছি এর জন্য কীভাবে ভুগতে হচ্ছে ভারতকে, কীভাবে তা প্রভাব ফেলছে বাংলাদেশে। এখন তা সিরিয়াতে, ইসরায়েলে ও মধ্যপ্রাচ্যের আরও নানা দেশেই প্রভাব ফেলছে’— আরও যোগ করেন তিনি।