রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের তিস্তার চরে আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে জিয়াউর রহমান নামের এক কৃষকের পেয়াজ ও বোরো ক্ষেতে সেচ দেয়ার কাজে ব্যবহৃত লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ২টি স্যালো মেশিন নিয়ে গেছে একদল দূর্বৃত্ত। এসময় তারা ওই কৃষকের সেচ কাজে ব্যবহৃত ১শ ২০টি পিভিসি পাইপ ভাংচুর করে প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার রহমতচর গ্রামে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের বাসিন্দা মৃত ভোলা সরকারের ছেলে জিয়াউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদী থেকে দুইটি স্যালো মেশিন দিয়ে তার পেয়াজ ও বোরো ধান ক্ষেতে পানি সেচ দিয়ে আসছেন। এতে বাঁধা দেয় পাশ্ববর্তী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লাটশালা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম। তিনি কৃষক জিয়াউর রহমানের নিকট থেকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে বলে, তার দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে তিনি তিস্তা নদী থেকে পানি সেচ দিতে দিবেন না। কৃষক জিয়াউর রহমান দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিয়ে বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয় সোমবার সকালে সাবেক ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের সেচ কাজে ব্যবহৃত দুইটি চানচাই ৩২ হস পাওয়ারের স্যালো মেশিন পাম্পসহ তুলে নিয়ে যায়।
এছাড়াও মাইদুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা সেচ কাজে ব্যবহৃত প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘের ১২০টি ৫ ইঞ্চি পিভিসি পাইপ ভাংচুর করে ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পীরগাছা ও সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক জিয়াউর রহমান বলেন, সাবেক ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতা। তিনি রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। ইতিপূর্বে তিনি তিস্তা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করলে এলাকাবাসী বাঁধা দেয়। এরই জের ধরে তিনি তার বাহিনী নিয়ে সোমবার সকালে হামলা চালায় এবং সেচ কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিয়ে যায় ও ক্ষতিসাধন করে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাইদুল ইসলাম বলেন, আমি জিয়াউরের সেচ কাজে ব্যবহৃত স্যালো মেশিন নিয়ে যাইনি, এলাকাবাসী নিয়ে গেছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়।
স্থানীয় লোকজন জানায়, মাইদুল ইসলাম যে ভাবে শতাধিক লোকজন নিয়ে এসে হামলা করেছে, তাতে বাঁধা দিলে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ হতো। সাধারন মানুষ এতে সাহস পায়নি। আমরা বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।