পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইজিবাইক চালক আল আমিনকে হত্যার পর গুমের মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি আবু মো. নোমান হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) র্যাবের সহযোগিতায় নীলফামারীর একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে তাকে পঞ্চগড় সদর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। সন্ধ্যার আগে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ সময় আদালত চত্বরে যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীরা তার রিমান্ডের দাবিতে চত্বরে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে আদালত চত্বরে সোহাগ নামের এক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তারা। এর আগে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা নোমান হাসানের চাচা আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মুনা তাকে দেখতে গেলে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনকেই বিএনপি দলীয় কার্যালয় ভাঙার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ গণমাধ্যমকে বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি আবু মো. নোমান হাসানকে র্যাবের সহযোগিতায় নীলফামারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যা ও গুমের মামলাসহ চারটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নোমান।