নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় মেয়েকে ও তার স্বামীকে অশ্লীল ভিডিও পাঠিয়ে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় মেয়ের বাবাকে ‘ভুয়া ডিবি পুলিশ’ বলে অপমান করে স্থানীয় জনতার মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়।
সোমবার (১০ মার্চ) রাতে উপজেলার মতির বাজার এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, উপজেলার মতির বাজার এলাকার মফিজার রহমানের ছেলে মো. মুরাদ (২০) দীর্ঘদিন ধরে খালিশাচাপানি এলাকার বাসিন্দা এবং পল্লী চিকিৎসক মো. ইনসান আলীর (ছদ্মনাম) মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। যদিও মেয়ের পরিবার অন্যত্র তার বিয়ে দেয়। মুরাদ তখন থেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটি ও তার স্বামীকে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও পাঠিয়ে হয়রানি করতে থাকে।
এ ঘটনায় মেয়ের বাবা ইনসান আলী, প্রতিবাদ জানাতে সোমবার রাতে মতির বাজারে মুরাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে, মুরাদ তাকে ‘ভুয়া ডিবি পুলিশ’ বলে সম্বোধন করে এবং জনতাকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে। মুরাদ স্থানীয়দের বিভ্রান্ত করে জনতার মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়।
ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পৌঁছে এবং ভুক্তভোগী বাবাকে নিরাপদে উদ্ধার করে। পুলিশ স্থানীয়দের বিভ্রান্তি দূর করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী ইনসান আলী বলেন, ‘মুরাদ দীর্ঘদিন ধরে আমার মেয়ে ও তার স্বামীকে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও পাঠিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তাকে সতর্ক করতে গেলে, সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। আমাদের সম্মান রক্ষায় আমি সরাসরি মুরাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু মুরাদ আমাকে ‘ভুয়া ডিবি পুলিশ’ বলে অপমানিত করে এবং জনতাকে উত্তেজিত করে তোলে।
এ ঘটনায় মুরাদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলে এলাহী বলেন, আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর করে ভুক্তভোগী বাবাকে নিরাপদে উদ্ধার করেছি। ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।