নীলফামারীর ডিমলায় সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিমলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফজলে এলাহী। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ওই রাতেই দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত দুইজন হলেন- একই গ্রামের নেসার উদ্দিনের ছেলে ছামিনুর রহমান (২৫) ও লতিফর রহমানের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (২৬)।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নলকূপ থেকে পানি আনার জন্য যায় কিশোরী। সেখানে ওত পেতে থাকা ওই দুই বখাটে যুবক কিশোরীর হাত মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। নলকূপের পাড় থেকে কিশোরী ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ভুট্টা ক্ষেত হতে মুখ বাধা অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় ডাক্তার দ্বারা ওই কিশোরীকে চিকিৎসা করা হলেও তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ কর হয়।
ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার খোরশেদ আলম জানান, ‘ওই কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তির পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত ও গোপনাঙ্গে জখমের চিহ্ন পাওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’
ডিমলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফজলে এলাহী সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, ‘এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’