পঞ্চগড় দেবীগঞ্জে দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টায় উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের টোকরাভাষা এলাকায় অবস্থিত আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া মার্কাজুল উলুম মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আটক ব্যক্তির নাম রেজওয়ান পারভেজ (২২)। তিনি ঐ মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক। রেজওয়ান পারভেজ পাশ্ববর্তী বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের সর্দারপাড়া এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চয়ন (১১) (ছদ্মনাম) ও নয়ন (১৩) (ছদ্মনাম) দু’জনেই ঐ মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র। গত ১৬ মার্চ রাত দেড়টা’র দিকে চয়নকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে মাদ্রাসার দক্ষিণ দুয়ারী টিনশেড ঘরের ভিতরে নিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেখিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত ব্যক্তি। এরপর তাকে কোরআন শরিফ নিয়ে শপথ করানো হয়, যেন এ ঘটনা কাউকে না জানায়। পরদিন চয়ন তারাবির নামাজের সময় তার পূর্ব পরিচিত গোলাম রাব্বিকে বিষয়টি জানায়। গোলাম রাব্বি পরে বিষয়টি চয়নের অভিভাবককে জানায়। পরে চয়নের অভিভাবক গোলাম রাব্বি ও স্থানীয় কয়েকজনকে সাথে নিয়ে মাদ্রাসায় তার ছেলের কাছে যায়। বাবাকে দেখে ছেলে হাউমাউ করে কেঁদে বিস্তারিত খুলে বলে। পরে মাদ্রাসার অন্য ছাত্রদের কথা বলার এক পর্যায়ে আরেক ভিকটিম নয়ন (ছদ্মনাম) জানায় একই ব্যক্তি গত ১০ মার্চ রাতে তার সাথেও একই কাজ করেছে।
এরপর ভিকটিমের বাবা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ নুরনবীকে ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। এ সময় মাদ্রাসার আশেপাশে এই ঘটনা জানাজানি হলে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ঐ ব্যক্তির উপর চড়াও হন। পরে রাত দেড়টায় গিয়ে দেবীগঞ্জ পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে এ ঘটনায় মানিক হোসেন নামে একজন ভিকটিমের অভিভাবক বাদী হয়ে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এবিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, ধর্ষনের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশু দুটির মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।