দিনাজপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন, তার ছেলে তানভী ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ হেলাল ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে আহতদের পরিবার ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা।
আজ ৬ অক্টোবর সকালে দিনাজপুরের নিমতলা প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আহত শাহিন, তার ছেলে গুরতর আহত তানভী, হেলাল,শাহীনের স্ত্রী বুবলি, হাজারের বেশি তানভীর সহপাঠী ছাত্র ও ছাত্রীরাসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
এ সময় আহত শাহিন বলেন, ১৩ সেপ্টেম্বরে হামলার ঘটনা আপনারা জানেন।এ ঘটনায় আমরা মামলা করেছি। সে মামলায় কোট তদন্ত চেয়ে দোষীদের নামে ওয়ারেন্টি ইস্যু করেছে। ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়ার পরেও আমরা লক্ষ্য করতেছি আসামীরা প্রশাসনের বিভিন্ন অফিসে গিয়ে মিটিং করতেছে। থানায় ঢুকতেছে বের হচ্ছে। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীরা কি আসলে প্রশাসনের সামনে ঘুরতে পারে? আমাকে বিভিন্ন মাধ্যমে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আমার চাওয়া আসামীদের ধরে বিচারের আওতায় আনা হোক।
আরেকজন আহত হেলাল বলেন,এক দেড়শ ছেলে এসে আমাদের এলোপাতাড়ি কোপায়। আমার পিঠে অগণিত সেলাই। আমার গোটা পিঠ ঝাঝরা করে দিছে। তিনটা স্ক্রু ড্রাইভার আমার পিঠে ঢুকাই দিছে। এটা করেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সোহেলর নির্দেশে।আমি ১৬ বছর স্বেচ্ছাসেবক দল করেছি তাই অনুরোধ করেছিলাম ভাই আমরা চলেছি ফিরেছি তবুও শুনে নি।এখন আমার নিরাপত্তা চাই। আমার চাওয়া প্রশাসন কঠোর হবে। আসামীরা দ্রুত গ্রেফতার হবে।
এছাড়া মানববন্ধনকারীরা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ায় কোটে মামলা করা এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তার না করায় পুলিশ সচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি জানায়।
উল্লেখ্য, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতন, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে কয়েকজন বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে দিনাজপুরে আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক।সন্ধ্যায় রাজরামপুর এলাকায় শেখপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলামের বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল খালেক। সেখানে অভিযোগকারী কয়েকজনকে ডেকে তিনি কথা বলেন।আব্দুল খালেক ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে সেখানে বখতিয়ার আহমেদ ও অভিযোগকারী মোস্তফা কামালের অনুসারী নেতা–কর্মীরা তর্কে জড়ান। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয় ও সংঘর্ষে গুরুতর আহত তিনজনকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।