শিরোনাম
দেবীগঞ্জে মসজিদ ও কবরস্থানের জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগে এলাকাবাসীর মানববন্ধন  আগামী এক দশকের মধ্যে পঞ্চগড়ের একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন : সারজিস যৌথ অভিযানে সাত দিনে ৩৮৩ অপরাধী গ্রেপ্তার রংপুরে মামলা থেকে নাম সরাতে ব্যবসায়ী মারফত ঘুষ দাবি পুলিশ কর্মকর্তার, বাদীকে থানাতেই মারধর জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে নিজ দেশে ফেরার আকুতি রোহিঙ্গাদের তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের বাংলাদেশের সংস্কারে পাশে থাকার আশ্বাস গুতেরেসের লালমনিরহাটে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক নীলফামারীতে যাবজ্জীবন কারাভোগ শেষে ২ নারীর মাঝে সেলাই মিশিন বিতরণ ভূরুঙ্গামারীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি শোভনের পিতা গ্রেফতার
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন

তরুণদের হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ: আজহারী

ডেস্ক নিউজ / ৩৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, ২৪-এর রক্তাক্ত আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে আমাদের তরুণ ছাত্র ও যুব সমাজ। এই তরুণদের হাতেই নিরাপদ আমাদের বাংলাদেশ, নিরাপদ লাল সবুজের পতাকা।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা বারুয়াখালীতে তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে” প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

কয়েক লাখ তৌহিদী জনতার উপস্থিতিতে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে কুরআন-হাদীসের আলোয় আলোকিত করতে হবে। তাহলেই দেশ-জাতি সমাজ উপকৃত হবে।’

মাহফিলকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তার শুভাকাক্ষীরা মাহফিল ময়দানে আসতে শুরু করেন। শনিবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে উপস্থিতি। দুপুরের আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় বারুয়াখালী মাঠ। এই মাঠে মাহফিলে এত লোক আগে দেখেনি কেউ।

মাঠ ও মাঠের বাইরে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ৩০টি বড় পর্দায় মাহফিল প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। এই উপস্থিতিকে কুরআনের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করছেন উপস্থিত মুফাছছিরগণ।

তাফসীর পেশ কালে ড. মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী আরও বলেন, আমাদের নিয়ে যারা হিংসা করেন, সমালোচনা করেন আমরা তাদেরকেও ভালবাসি। আমাদের স্লোগান হচ্ছে ‘হেরে যাবে ওদের হিংসা, জিতে যাবে আমাদের ভালোবাসা।’ এটাই ইসলামের সুমহান শিক্ষা।

মাঠে বিশাল প্যান্ডেল ও আকর্ষণীয় স্টেজ নির্মাণ করা হয়। বিশেষ করে স্টেজে প্রবেশের রাস্তায় তিনস্তরে মেটাল ডিক্টেটর গেইট নির্মাণ করে পরীক্ষা করে সবাইকে ভেতরে প্রবেশ করানো হয়। পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাবসহ সরকারী সকল সংস্থার সতর্ক অবস্থান ছিল চোখে পড়ার মতো। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পিডিবির পক্ষ থেকে মাহফিল এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়। যানজট এড়াতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় পুলিশ সর্বাত্মক কাজ করে।

প্রশাসনের পাশাপাশি মাহফিল কমিটির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন। মাহফিল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. শাহজাহান শিকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, আলহাজ সাইদুর রহমান শাহীন, আলহাজ রওশন আলী, মো. আইয়ুব হোসেন চুন্নু মিয়া, মো. আশরাফুল ইসলাম মোল্লা, তানভির আহমেদ, মোহাম্মদ হোসেইন জনি, মো. মনির হোসেন, আবুল বাসার সুজন, শামিমুল হক শিমু, মিজানুর রহমান মিজান।

মাহফিল পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাদের খানের সঞ্চালনায় মাহফিলে বিশেষ বক্তা হিসেবে তাফসীর পেশ করবেন মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার, হাফেজ ক্বারী শেখ মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, হাফেজ ক্বারী আব্দুল ওয়াহাব দোহারী ও হাফেজ মাওলানা মহিবুল্লাহ রুম্মান প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ