শিরোনাম
দেবীগঞ্জে মসজিদ ও কবরস্থানের জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগে এলাকাবাসীর মানববন্ধন  আগামী এক দশকের মধ্যে পঞ্চগড়ের একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন : সারজিস যৌথ অভিযানে সাত দিনে ৩৮৩ অপরাধী গ্রেপ্তার রংপুরে মামলা থেকে নাম সরাতে ব্যবসায়ী মারফত ঘুষ দাবি পুলিশ কর্মকর্তার, বাদীকে থানাতেই মারধর জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে নিজ দেশে ফেরার আকুতি রোহিঙ্গাদের তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের বাংলাদেশের সংস্কারে পাশে থাকার আশ্বাস গুতেরেসের লালমনিরহাটে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক নীলফামারীতে যাবজ্জীবন কারাভোগ শেষে ২ নারীর মাঝে সেলাই মিশিন বিতরণ ভূরুঙ্গামারীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি শোভনের পিতা গ্রেফতার
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন

ঠাকুরগাঁও সদরে স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ডেস্ক নিউজ / ১৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ কচুবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শনিবার (৮ মার্চ) স্কুলে প্রাইভেট পড়তে গেলে ওই শিক্ষার্থীর সাথে এই ঘটনা ঘটে। পরিবারের অভিযোগ, বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক নিয়মিত শিশুদের প্রাইভেট পড়াতেন।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য যায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। তাকে বাদে বাকি সব শিক্ষার্থীকে চলে যেতে বলেন শিক্ষক মানিক। সবাই চলে গেলে রুমে দরজা বন্ধ করে ঘটনাটি ঘটান তিনি। পরে তার মোটরসাইকেল করে সেই শিক্ষার্থীকে বাড়ির পাশে রেখে আসেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের কাছে কান্নাকাটি করলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে, স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে প্রভাবশালী মহল নানা কৌশল অবলম্বন করছে। ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে সরকারি হাসপাতালে না নিয়ে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে (সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার) নেওয়া হয়, যেখানে আলামত নষ্টের চেষ্টা করা হতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। পরে স্থানীয়দের চাপে ভুক্তভোগীকে সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রাকিবুল আলম জানান, ধর্ষণের অভিযোগে একটি শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি এবং প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমরা কাউকে কোচিং করানোর অনুমতি দিইনি। অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি বিস্তারিত জেনে শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করব।

ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ