শিরোনাম
দেবীগঞ্জে মসজিদ ও কবরস্থানের জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগে এলাকাবাসীর মানববন্ধন  আগামী এক দশকের মধ্যে পঞ্চগড়ের একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন : সারজিস যৌথ অভিযানে সাত দিনে ৩৮৩ অপরাধী গ্রেপ্তার রংপুরে মামলা থেকে নাম সরাতে ব্যবসায়ী মারফত ঘুষ দাবি পুলিশ কর্মকর্তার, বাদীকে থানাতেই মারধর জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে নিজ দেশে ফেরার আকুতি রোহিঙ্গাদের তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের বাংলাদেশের সংস্কারে পাশে থাকার আশ্বাস গুতেরেসের লালমনিরহাটে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক নীলফামারীতে যাবজ্জীবন কারাভোগ শেষে ২ নারীর মাঝে সেলাই মিশিন বিতরণ ভূরুঙ্গামারীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি শোভনের পিতা গ্রেফতার
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন

গাইবান্ধায় মেলার ভেতরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৩ নেতার ওপর হামলা

ডেস্ক নিউজ / ৩৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধা জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম আকাশ, মেহেদী হাসান ও যুগ্ম সদস্যসচিব শেফাউর রহমান শিপনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেলার ভেতরে হঠাৎ করে একদল দুর্বৃত্ত ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা তাদের লাঞ্ছিত ও ছুরিকাঘাত করে। এতে তিন জন আহত হন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেহেদী হাসান ও শেফাউর রহমান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান তার পরিবার নিয়ে মেলায় যান। মেলায় এক স্টলের কর্মচারী আসাদুজ্জামানকে হেনস্তা করেন। খবর পেয়ে তারা কয়েকজন যান। সেসময় স্টল মালিকের সঙ্গে কথা বলে ওই কর্মচারীকে মেলা থেকে বের করে দেন। মেলা থেকে তারা বের হওয়ার সময় অপরিচিত দুই নারীকে কয়েকজন মিলে মারধর করতে দেখেন। চুরির অভিযোগে তাদের মারধর করা হচ্ছিল। এতে বাধা দিলে ধারালো অস্ত্র হাতে তাদের ওপর হামলা করে ওসব ব্যক্তি। এতে আকাশ, মেহেদী ও শিপন আহত হন।

হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সদস্যসচিব বায়োজিদ বোস্তামী জীম বলেন, আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। প্রথমে ধারালো ছুরি দিয়ে তারা আসাদুজ্জামান ও মেহেদীকে আঘাতের চেষ্টা করে। মেহেদীকে বাঁচাতে গেলে আকাশের বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাটি সদর থানার ওসি ও সেনাবাহিনীকে জানানো হলেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ও সুবিধাবাদী বিএনপির একটি গ্রুপ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই হামলা চালিয়েছে।

এদিকে, হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে সদর থানায় অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করাসহ দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানানো হয়।

ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহমুদ আল হাসান ও সেনাবাহীনির সদস্যরা সদর হাসপাতালে যান। তারা আহতদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে ইউএনও মো. মাহমুদ আল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, হামলার ঘটনাটি তদন্তে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহীনির সদস্যরাও কাজ করছেন। দ্রুত জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর তালুকদারের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ