শিরোনাম
যৌথ অভিযানে সাত দিনে ৩৮৩ অপরাধী গ্রেপ্তার রংপুরে মামলা থেকে নাম সরাতে ব্যবসায়ী মারফত ঘুষ দাবি পুলিশ কর্মকর্তার, বাদীকে থানাতেই মারধর জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে নিজ দেশে ফেরার আকুতি রোহিঙ্গাদের তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের বাংলাদেশের সংস্কারে পাশে থাকার আশ্বাস গুতেরেসের লালমনিরহাটে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক নীলফামারীতে যাবজ্জীবন কারাভোগ শেষে ২ নারীর মাঝে সেলাই মিশিন বিতরণ ভূরুঙ্গামারীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি শোভনের পিতা গ্রেফতার ইসলামী শাসনে চলবে সিরিয়া, অস্থায়ী সংবিধানে প্রেসিডেন্টের সই ট্রেনে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ীর পুরুষাঙ্গ কর্তনের মামলায় ৭ হিজড়া কারাগারে

ডেস্ক নিউজ / ১৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫

কুষ্টিয়ার মিরপুরে কাপড় ব্যবসায়ী শিপন আলীকে (৩৯) কৌশলে অপহরণ করে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার মামলায় অভিযুক্ত ৭ হিজড়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ওয়াপদা সাইকেল স্ট্যান্ড এলাকার দুর্লভ প্রামাণিকের ছেলে ইমন ওরফে নেহা (২৮), একই এলাকার সোহেল রানার ছেলে বাঁধন ওরফে বেলী (২৬), আব্দুর রহমানের ছেলে মিজান ওরফে আঁখি (৩৬), নজু জোয়াদ্দারের ছেলে মিন্টু ওরফে ফুলি (২৮), মৃত জাহাঙ্গীরের ছেলে আলামিন ওরফে পানি (২৯), ইয়ার আলীর ছেলে হৃদয় ওরফে পাখি (২১) ও আকবার আলীর ছেলে জাফর ওরফে সোনালী (২৬)।

বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি একজন ভ্রাম্যমাণ কাপড় ব্যবসায়ী। কাপড় বিক্রয়ের সুবাদে নেহা, আঁখি ও বেলী নামের আসামিদের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা মাঝেমধ্যেই তার নিকট থেকে নগদ ও বাকিতে কাপড় ক্রয় করতো। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে নেহা, আঁখি, বেলী, ফুলি ও পানি কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকায় আসে এবং তার নিকট থেকে পাঁচটি শাড়ি ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত শাড়ির টাকা নেওয়ার জন্য তাকে তাদের সঙ্গে মিরপুর এলাকায় যেতে বলে। তখন তিনি কাপড় নিয়ে আসামিদের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে সেদিন বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে মিরপুরের ওয়াপদা এলাকায় সাইকেল স্টান্ড সংলগ্ন এক নম্বর আসামি নেহার বসতবাড়িতে পৌঁছান এবং তারা শাড়ির বাকি টাকা পরিশোধ করে দেন।

একপর্যায়ে আসামিরা তাকে খাবার খেতে দিলে তিনি সরল বিশ্বাসে খাবার খান। কিছুক্ষণ পর তার মাথা ঝিনঝিন করতে থাকে এবং অচেতন হয়ে যান। পরবর্তীতে রাতে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখতে পান যে, দুই নম্বর আসামি বেলির হাটুর ওপর মাথা দিয়ে শুয়ে আছেন এবং অন্যান্য আসামিরা তার আশপাশে বসে আছেন। তখন তিনি বুঝতে পারেন যে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তার পুরুষাঙ্গ কর্তন করে অপারেশনপূর্বক তাকে তৃতীয় লিঙ্গে রুপান্তর করেছে। তখন তিনি ভীষণ অসুস্থ অবস্থায় আসামিদের এমন কার্যকলাপের কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা কোনো সদুত্তর দেয়নি। বরং তাকে অবৈধভাবে জোরপূর্বক নেহার বাড়িতে আটক করে রাখে। এভাবে দীর্ঘদিন আটক রাখার পর সুযোগ বুঝে কৌশলে গত ৩ মার্চ সেখান থেকে পালিয়ে আসেন এবং ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

এ বিষয়ে মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, কাপড় ব্যবসায়ীর পুরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার ৭ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ