বিজিবির জোরালো প্রতিবাদে কুড়িগ্রামের দক্ষিন বাঁশজানি শূন্যরেখায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরা অপসারণে সীদ্ধান্ত নিল বিএসএফ। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছে বিজিবির কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন (২২ বিজিবি)
এর আগে, মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানী সীমান্তে শূন্যরেখায় ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জেরে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাঁশজানি সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২ ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন (২২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান। বিএসএফ’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার শ্রী অনিল কুমার মনোজ।
দীর্ঘ বৈঠকে সিসি ক্যামেরা অপসারণ করার সীদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন (২২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শূন্যরেখায় নির্মিত ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদ এলাকার নিরাপত্তা বিষয়টি বিবেচনা করে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি করে বিএসএফ। তবে বিজিবি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যাপারে জোরালো প্রতিবাদ জানালে তা অনতিবিলম্বে খুলে ফেলার বিষয়ে আশ্বস্ত করে বিএসএফ।
এ ছাড়াও পতাকা বৈঠকে মসজিদ এলাকায় শূন্য লাইনে নির্মিত টিনের স্থাপনা খুলে ফেলতে এবং সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অবৈধ পাকা স্থাপনা তৈরি না করাসহ উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার রাত দুইটার দিকে পাথরডুবি ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮/৯-এস এর নিকটে সীমান্ত শূন্য লাইন হতে ৫ গজ ভারতের অভ্যন্তরে দক্ষিণ বাঁশজানি (জোড়া) মসজিদ নামক স্থানে ভারতের ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ছোট গাড়লজোড়া ক্যাম্পের সদস্যরা ইউক্যালিপটাস গাছের সাথে বাংলাদেশের দিকে মুখ করে একটি সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করে।
পরে সোমবার সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি বিজিবেকে জানালে বিজিবি বিএসএফকে ডেকে এর কড়া প্রতিবাদ জানান এবং সিসি ক্যামেরা অপসারণ করতে বলেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দিনভর বিজিবি এবং বিএসএফের ক্যাম্প এবং কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে কয়েক দফা পতাকা বৈঠক হলেও সুরাহা না হওয়ায় মঙ্গলবার ব্যাটালিয়ন পর্যাবয় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।