সাত বছর আগে ঢাকার দোহার থানাধীন সুতারপাড়া ইউনিয়নে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে জিয়াউর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডের পাশাপাশি তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীর পরিবারকে দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামি জিয়াউর রহমান পলাতক। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পাশে সবজি খেতে সবজি আনতে যায় ওই কিশোরী। সেখান থেকে ফেরার পথে সকাল পৌনে ১০টার দিকে জিয়াউর রহমান ওই কিশোরীকে পাশের একটি খেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি ধারালো অস্ত্র (চাকু) দিয়ে গলা কেটে কিশোরীকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা দোহার থানায় মামলা করেন।
মামলাটি করে তদন্ত করেন দোহার থানার উপ-পরিদর্শক সৈয়দ মেহেদী হাসান। তিনি আসামিকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।