রংপুর অঞ্চলের শীর্ষ মাদক কারবারি মজনু মিয়ার অবৈধ সম্পদ অর্জনে দুদকের মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত রংপুরের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৭ মার্চ মাদক কারবার করে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের দায়ে দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন রংপুরের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। সেই মামলায় মাদক কারবারি মজনু মিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রংপুর-রাজশাহী বিভাগের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ২২ জন মাদক কারবারির মধ্যে ২১ নম্বর মাদক কারবারি মজনু মিয়া। তার বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইসলামপুর এলাকায়। পারিবারিক জীবনে তার দুই স্ত্রী, তিন ছেলে ও দু’মেয়ে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে মাদকের কারবারের সঙ্গে জড়িত। ২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন তার সম্পদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে এবং প্রাথমিকভাবে তার অবৈধ সম্পদের তথ্য পায়। পরে তাকে সম্পদের তথ্য দাখিলের জন্য বলা হলে মজনু মিয়া নিজ স্বাক্ষরে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। দাখিলকৃত সম্পদ যাচাইকালে দেখা যায়, তার স্থাবর ও অস্থাবর মোট সম্পদ ৬৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৫ টাকা। এরমধ্যে তার বৈধ আয় সাত লাখ ৩৮ হাজার এবং অবৈধভাবে আয় ৬১ লাখ ৬০ হাজার ৩৬৫ টাকা। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে হওয়া অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। এরপর মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজুর আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশন রংপুরের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
মামলা হওয়ার পর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত রংপুরে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন শীর্ষ মাদক কারবারি মজনু মিয়া। আসামিপক্ষে জামিনের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট সন্তোষ কুমার সরকার। আর সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত, রংপুরের পাবলিক প্রসিকিউটার অ্যাডভোকেট মো. আফতাব উদ্দিন সরকার ও দুর্নীতি কমিশন পিপি অ্যাডভোকেট হারুন-উর-রশিদ। পরে আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করে মজনুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।