বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও এই অঞ্চলের জনগণের স্বার্থ ও সমস্যাগুলো নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় যথাযথভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর উপদেষ্টা পরিষদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, উত্তরাঞ্চলের কোনো প্রতিনিধি উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হননি বলে জানিয়েছেন রংপুর সদর উপজেলার গুপ্ত পাড়ার বাসিন্দা মহা. সিরাজ-উদ-দৌলা চৌধুরী।
সোমবার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। এসময় তিনি উপদেষ্টা পরিষদে উত্তরাঞ্চলের ‘জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা’ হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজ-উদ-দৌলা চৌধুরী বলেন, উত্তরাঞ্চল আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেখানে শিক্ষা, কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ অবকাঠামো, দারিদ্র্যবিমোচন, স্বাস্থ্যসেবা, ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এ অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে রয়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে হলে নীতিনির্ধারণের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উত্তরাঞ্চলের একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রতিনিধি থাকা অত্যাবশ্যক। রংপুরে বাসন্তী এবং আবু সাঈদের ধাক্কা শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা সামাল দিতে পারেনি। মনে রাখবেন উত্তরবঙ্গে ভেড়া বাস করে না, বাস করে অনেক বড় বাঘ। শহীদ আবু সাঈদের প্রাণত্যাগ এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল সৌন্দর্য হল বৈষম্য দূরীকরণের দায়বদ্ধতা।
তিনি আরও বলেন, আমি প্রধান উপদেষ্টার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, অবিলম্বে উত্তরাঞ্চলের একজন উপযুক্ত ও যোগ্য ব্যক্তিকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করুন। এতে কেবল উত্তরাঞ্চলের জনগণই উপকৃত হবে না। বরং এটি সুষম উন্নয়ন ও জাতীয় ঐক্যের প্রতিফলন ঘটাবে।
দুঃখজনক হলেও সত্যি, এতদিনেও বৃহত্তর, রংপুর, দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গ থেকে একজন উপদেষ্টা হওয়ার মতো অথবা নেওয়ার মতো একজনও যোগ্য লোক যখন পাওয়া যায়নি, সেই মুহূর্তে আমি মহা. সিরাজ-উদ-দৌলা চৌধুরী নিজেকে একজন সিনিয়র উপদেষ্টা হওয়ার মতো যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে মনে করছি। তাই বেতন-ভাতা ছাড়াই একজন সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে আমাকে ১০১ দিনের জন্য কাজ করার সুযোগ দিন। আমি সিনিয়র উপদেষ্টা হলে অন্যান্য উপদেষ্টাদের চেয়ে অনেক ভালো কাজ করব ইনশাল্লাহ।